সম্মানিত প্রধান শিক্ষক
অখন্ড বাংলার দক্ষিণ জনপদে শিক্ষার আলো জ্বালানোর জন্য পটুয়াখালী জেলাধীন কলাপাড়া উপজেলার অন্তর্গত মহিপুর থানার কুয়াকাটা পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ডের এবং এর নিকটবর্তী এলাকার জমিদারবর্গের উদার মনোবৃত্তির ফলশ্রুতি আজকের লতাচাপলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৩৬ সালে ইংরেজরা লতাচাপলীর নামে এ বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৩৬ সালে জমিদার বাচিং তালুকদার ০.৫২ একর জমি বিদ্যালয়ের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেন। উক্ত জমিরও পর সম্পূর্ণ নিজস্ব আঙ্গিকে বর্তমান প্রধান বিল্ডিং এর ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। বিদ্যালয়টি জন্মলগ্ন থেকেই অনেক বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক এবং দেশবরেণ্য জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তির লালন ভূমি হিসেবে স্বাক্ষর বহন করছে।
লতাচাপলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৩৬ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্য়ন্ত পরিচালিত হচ্ছে এবং ২০১৭ সাল থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু হয় । সুদক্ষ ও বিজ্ঞশিক্ষক মন্ডলী কর্তৃক শ্রেণি পাঠ্যক্রমিক শিক্ষায় বিদ্যালয়ের সুনাম দেশজুড়ে। সর্বমোট ০৯ জন সহকারি শিক্ষক, একজন প্রধান শিক্ষক দ্বারা বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়।
দক্ষ পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক অভিভাবক সমিতি, বিদ্যালয় কল্যাণ সমিতি, অভিভাবক-শিক্ষক সমাবেশ, নিয়মিত ছাত্র সমাবেশ সহ সুশৃঙ্খল শিক্ষা দানের পাশাপাশি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে লতাচাপলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশাব্যঞ্জক ভূমিকা রেখে আসছে। বিদ্যালয়টি বহুবার উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসাবে নির্বাচিত হবার গৌরব অর্জন করে এবং ২০১৭ সালে জাতীয় পর্যায় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসাবে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে। এ সুবাদে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক নাজমুস সাকিব খান কণা সরকারি ভাবে বিদেশ ভ্রমন করেন। বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম ২০১৭ইং সালে শ্রেষ্ঠ প্রধানশিক্ষক হিসেবে ভিয়েতনাম সফর করেন। তার এই অভিজ্ঞতার আলোকে বিদ্যালয়টিকে আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজ করার জন্য নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।